দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে রয়েছেন কেরলের খ্রিস্টান তরুণী সিয়ানি বেনি। বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছিল সিয়ানিকে জোর করে আবুধাবিতে নিয়ে গিয়ে কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগ দেওয়ানো হয়েছে। তাঁর বাবা-মা নিখোঁজ ডায়েরি করে কোঝিকোড় পুলিশকে জানিয়েছিলেন, তাঁদের ১৯ বছরের মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। ফলে নানা জল্পনা দানা বাঁধছিল।
রবিবার গালফ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সব জল্পনা ও মিথ্যা অভিযোগের অবসান ঘটালেন খোদ সায়ানি। ওই খ্রিস্টান তরুণী জানিয়েছেন, তাঁকে কেউ জোর করেনি। তিনি ভালবাসার ডাকে সাড়া দিয়ে স্বেচ্ছায় আবুধাবি গিয়েছেন এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার পর এখন সিয়ানির নাম হয়েছে আইশা।
আইশা স্পষ্ট করে বলেছেন, “আমি ভারতের একজন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক। আমার যেখানে ইচ্ছে যেতে পারি। আমি যা করেছি স্বেচ্ছায় করেছি। ভালবাসার টানে করেছি। এর মধ্যে জোর জবরদস্তির ছিটেফোঁটাও নেই।” তিনি গোটা বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, “আমি ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ করব, যারা আমার সম্পর্কে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে যেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”
দিল্লির জেসাস অ্যান্ড মেরি কলেজের স্নাতকের ছাত্রী সিয়ানি ওরফে আইশা। গত দেড় বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় সিয়ানির সঙ্গে পরিচয় হয় আবুধাবির এক ব্যবসায়ীর। ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে ন’মাস আগেই বিয়ে সেরেছিলেন কেরলের এই তরুণী। বিষয়টি মেনে নেয়নি তাঁর বাবা-মা। জানা গিয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বরের পর আর তিনি কলেজে যাননি। ওই দিন বিকেলের বিমানেই আবুধাবি উড়ে যান। তারপর ২৪ সেপ্টেম্বর আবুধাবির আদালতে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।