দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: সারদা কাণ্ডে ফের তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ আহমদ হাসান ইমরানকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আগামী মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির অফিসে হাজিরা দিতে পারেন আহমদ হাসান ইমরান। ইতিমধ্যেই এই মামলায় মদন মিত্র, স্বপন সাধন বসু (টুটু বসু)-দেরও তলব করেছে ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, এক দৈনিক সংবাদপত্রে বিপুল বিনিয়োগ করেছিলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, সুদীপ্ত সেনের বয়ান অনুযায়ী ওই কাগজ চালাতে মাসে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা করে লোকসান হত। এর বাইরে কম্পিউটার, ক্যামেরা, গাড়ি কিনতেও বিপুল টাকা খরচ হয়েছে বলেও জেরায় দাবি করেছেন সুদীপ্ত। আধিকারিরা জানিয়েছেন সারদা কর্তার দাবি যে, সংবাদপত্রের জন্য তাঁর ৬ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। কাগজ প্রকাশের জন্য ইমরানের সংস্থাকে ১৬ কোটি টাকা দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছেন সুদীপ্ত।
আগেও সারদা কেলেঙ্কারিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ। ইডি সূত্রের জানা যায়, ২০১০ সালে আজাদ হিন্দ নামে একটি উর্দু পত্রিকা এবং ২০১২ সালে কলম নামে একটি বাংলা পত্রিকা কেনেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। সেই দু’টি পত্রিকারই সম্পাদক ছিলেন আহমেদ হাসান ইমরান।
এ দিকে, সারদা-কাণ্ডে এ বার ইডি তলব করেছে জোড়াসাঁকোর তৃণমূল প্রার্থী তথা প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ বিবেক গুপ্তাকে। আগামী সোমবার তাঁকে ইডি-র অফিসে হাজির হতে বলা হয়েছে। আগেও তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অন্যদিকে, আজ বৃহস্পতিবারই ইডি ডেকে পাঠিয়েছে কলকাতার এক ক্লাব কর্তাকে। এ ছাড়া, সারদা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মদন মিত্রকেও ডেকে পাঠিয়েছে ইডি।
গত সোমবার সকালে এই মামলাতেই সল্টলেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দফতরে পৌঁছন চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন। ইডি সূত্রে খবর, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের একটি টেলিভিশন চ্যানেল কেনা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন করেন তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রে খবর, তৎকালীন দেব কৃপা ব্যাপার লিমিটেডের অধীনে থাকা একটি টেলিভিশন চ্যানেল কিনেছিলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। তিনি সেই চ্য়ানেল তৃণমূল ঘনিষ্ঠ শিল্পী শুভাপ্রসন্নর কাছ থেকে কিনেছিলেন এবং বাজার দরের তুলনায় দ্বিগুণ দামে।