দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগে পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মৃত্যুতে আগুন জ্বলেছিল গোটা আমেরিকায়। সেই আগুন মিটতে না মিটতে ফের পুলিশি অত্যাচারে একাধিক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মৃত্যুর খবর আসছে। দুটি পৃথক ঘটনায় কৃষ্ণাঙ্গ দুই ব্যক্তির উপর পুলিশি অত্যাচারের খবরে আবারও উত্তাল হয়ে উঠল আমেরিকা।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২৩ মার্চ রশেস্টারে। অভিযোগ, ৪১ বছরের কৃষ্ণাঙ্গ ড্যানিয়েল প্রুডকে নগ্ন অবস্থায়, হাতকড়া এবং মাথায় বস্ত্রাবরণ পরিয়ে রাস্তার উপর অত্যাচার চালিয়েছিলেন সাতজন পুলিশকর্মী। সেই ঘটনার ভিডিও সম্প্রতি সামনে আসার পর নতুন করে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, একজন অফিসার প্রুডের মাথা চেপে ধরে আছেন হাত দিয়ে। একজন অফিসার হাঁটু দিয়ে তাঁর পিঠ চেপে ধরেছেন। অফিসারদের চাপে প্রুডের শ্বাস আটকে যায় এবং তিনি বমি করতে থাকেন। তাতে বিরক্ত হয়ে আরেক অফিসার মাথা চেপে ধরেন দুপা দিয়ে।
ভিডিওয় প্রুডকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আপনারা আমারে মেরে ফেলার চেষ্টা করছেন।’ সেটাই এখনও পর্যন্ত তাঁর শেষ উচ্চারিত শব্দ, যা আরও ইন্ধন জুগিয়েছে বিক্ষোভে। কারণ, তার ১১ মিনিট পর যখন প্রুডকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ তখন তিনি অচেতন। হাসপাতালে পাঁচ দিন পর প্রুডের মৃত্যু হয়।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে কলাম্বিয়া ডিস্ট্রিক্টে আমেরিকায় আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি–র কাছে। বৃহস্পতিবার পুলিশের প্রকাশিত একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণকে গুলি করছেন। ঘটনাটি ঘটেছিল গত বুধবার। ডিওন কে নামের ১৮ বছরের ওই তরুণ রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়লে তাঁকে ওইভাবেই ফেলে রেখে এবং অন্যদের তাঁকে নজরে রাখতে বলে ওই অফিসার পিস্তল খুঁজতে শুরু করেছেন। পরে অফিসারকে বলতেও শোনা গিয়েছে ভিডিওয় যে তিনি বন্দুকটি খুঁজে পেয়েছেন। পরে রক্তপাতে মৃত্যু হয় ডিওনের। ডিওনকে পুলিশের গুলি করে হত্যার খবর মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে ওয়াশিংটন ডিসি–তে। যার ফলে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠে ওয়াশিংটন ডিসি।
ঘটনায় পরিস্থিতির চাপে পড়ে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে পদক্ষেপ করেন রশেস্টারের মেয়র লাভলি ওয়ারেন। অভিযুক্ত সাত অফিসারকেই সাসপেন্ড করেছেন তিনি। কিন্তু এভাবে বার বার কৃষ্ণাঙ্গদের পুলিশি হত্যায় প্রশ্ন উঠছে তবে কি কৃষ্ণাঙ্গরা মানুষ নয়?