দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: এ কেমন প্রজাতন্ত্র? যাদেরকে নিয়ে, যাদের জন্য প্রজাতন্ত্র দিবস, তাদেরকেই সেই দিবসে মারধর করল মোদী সরকারের পুলিশ। এমনকি কৃষকদের উপর কাঁদানে গ্যাসও ছুড়ল দিল্লি পুলিশ। এদিন সকাল আটটা বাজতে না বাজতেই রাজপথের দখল নেন কৃষকরা। সিংঘু সীমান্তে ভাঙল পুলিশের ব্যারিকে়ড। পাঁচ হাজার কৃষকের জমায়েতের কাছে রীতিমতো অসহায় দেখাল দিল্লি পুলিশকে। বেলা গড়াতে সঞ্জয়গান্ধী নগরের কাছে মিছিল আসতে কাঁদানে গ্যাসও ছুড়ল দিল্লি পুলিশ।
সাধারণতন্ত্র দিবসে তিনটি পথে মিছিল করার অনুমতি পান কৃষিআইন বিরোধী বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। শর্তও বেঁধে দেওয়া হয়, বলা হয় কোনও দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়া যাবে না। সেই মতোই মঙ্গলবার সকালে একদিকে যখন রাজপথে কুচকাওয়াজের ঘনঘটা সিংঘু ও টিকরি সীমানায় জমায়েত হয় কৃষকরা। ব্যারিকেড ভেঙে রাজধানীর দিকে এগলো তেরঙ্গা লাগানো হাজার হাজার ট্রাক্টর। যদিও এখনও কৃষক নেতারা আশ্বাস দিচ্ছেন তাঁদের এই অভিযান শান্তিপূর্ণ হবে। সিংঘু সীমান্তে ট্রাক্টরে অপেক্ষমান কৃষকনেতা দেবেন্দর সিং বললেন, আমাদের কথা যেন গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে আমরা অধিকার রক্ষার লড়াই লড়ছি।
সংক্যুত কিষাণ মোর্চার একজন প্রতিনিধির দাবি যারা সময়ের আগে ব্যারিগেড ভাঙলেন তারা কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটির সদস্য। তাঁরা সোমবারই ঘোষণা করেছিল, সাধারণ তন্ত্র দিবসে রিংরোডে পৌঁছবে তাদের ট্রাক্টর মিছিল। ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট অধিবেশনের দিনে সংসদে পদযাত্রার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। আপাতত নানগলোই, নানগোলোই রেলস্টেশন, রাজধানী পার্ক, গেভরা, তিকরি কলন, তিকরি বর্ডার, পন্ডিত শ্রীরাম শর্মা, বাহাদুরগড় সিটি, ব্রিগেডিয়ার হোশিয়ার সিং স্টেশনে প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে কৃষকদের।