নিজস্ব সংবাদদাতা, দৈনিক সমাচার, নদিয়া : নদিয়ার কালীগঞ্জে গান্ধী সংকল্প যাত্রায় মুকুল রায়কে ঘিরে বিক্ষোভের পাশাপাশি বিজেপি কর্মীদের সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার সকালে কৃষ্ণনগর থেকে প্রথমে সংকল্প যাত্রা যোগ দেওয়ার কথা কালীগঞ্জের দেবগ্রামে। কালীগঞ্জে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে মুকুল রায় ঢোকামাত্রই কেন্দ্রীয় নেতাকে লক্ষ্য করে তৃণমূলের দলীয় পতাকা কাঁধে নিয়ে চোর চোর বলে কটাক্ষ করতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা।
যদিও এসব নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবতে নারাজ কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তার সাফ কথা, বিজেপি ক্ষমতায় এলে এরাই বিজেপিতে আসবে। কেন্দ্রীয় নেতা আরও বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষ জনাদেশ দিয়েছে গণতন্ত্রের পক্ষে মমতার বিপক্ষে। বাংলায় লোকতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না? এই জনাদেশ মমতা ব্যানার্জি মানতে রাজি নয়। তাই জোর করে পুলিশ দিয়ে ক্যাডার দিয়ে বাংলার গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা করছে। রাজ্যের পুলিশকে এক হাত নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায় বলেন, পুলিশ আর পুলিশ নেই পুলিশ এখন দলদাসে পরিণত হয়েছে। আজ পুলিশ এমন করছে কাল যখন ক্ষমতার পরিবর্তন হবে পুলিশ তখন দৌড়াবে বলে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়।
গত চারদিন ধরে নদীয়ার মাটি আঁকড়ে পড়ে আছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে বলাই যায়, নদিয়ার প্রত্যেকটি ব্লক থেকে শুরু করে একেবারে তৃণমূল স্তরের সংগঠন তার হাতের তালুর মতো চেনা। কৃষ্ণগঞ্জ এর বিধায়ক খুনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস নাম জড়িয়ে দিয়েছিল মুকুল রায়ের। আদালতের নির্দেশে বিগত লোকসভা নির্বাচনে তিনি প্রচারে আসতে পারেনি নদিয়ায়। তাই সামনেই নদিয়ার করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন আছে সেটাই এখন মুকুল রায়ের পাখির চোখ। উপ-নির্বাচন জয় দিয়েই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নদিয়ায় তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করতে চান মুকুল রায়। এদিন নদিয়ার কালীগঞ্জের দেবগ্রাম হয়ে পলাশী সেখান থেকে করিমপুরে গান্ধী সংকল্প যাত্রায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়।
সব খবর পড়তে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন – এখানে ক্লিক করুন