মুহসীন মোসাদ্দেক
(পূর্ব প্রকাশের পর)
ভূতের বাড়ি কাণ্ড…
স্কুলে আসার জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় লাবু আর রুবেলকে আটকালো আম্মু। তারপর তাদের ব্যাগ, পকেট চেক করা হলো। ঘুরে ঘুরে তাদের ভালো করে দেখলো আম্মু। বোঝার চেষ্টা করলো, আজকেও তাদের বিশেষ কোনো মতলব আছে কিনা। সেরকম কিছু পাওয়া না গেলে তাদের ছেড়ে দেয়া হলো। এবং হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলা হলো, আজকেও যদি স্কুল ফাঁকি দিয়ে উল্টোপাল্টা কিছু করা হয় তাহলে খবর আছে!
লাবুরাও ঘোষণা দিলো, তাদের আজ কোনো বিশেষ মতলব নেই!
স্কুলে গিয়ে দেখা গেলো, যে জায়গায় খেলা নিয়ে ক্লাস এইটের সাথে ঝামেলা হয়েছিল সে জায়গা ফাঁকা পড়ে আছে। ক্লাস এইটের ছেলেরা মাঠের অন্যপাশে খেলছে। লাবুদের দেখে কেমন করে যেন তাকালো ওরা, বিশেষ করে মোটাসোটা ছেলেটা। সেদিনের মতো রাগ রাগ ভাব নেই, খুব শান্ত শান্ত ভাব। সুরুজ কিছুটা ভাব নেয়, কাদাতে চুবিয়ে সে-ই তো ছেলেটাকে একেবারে ঠাণ্ডা করে দিয়েছে!
টিপু স্কুলে আসে নি। সে ফড়িংকপ্টার নিয়ে ব্যস্ত। চর থেকে ধরে আনা দুইটা ফড়িংয়ের একটা নাকি মরে গেছে। আরেকটা জীবিত থাকলেও তার অবস্থা বোঝা যাচ্ছে না। কখন সে-ও মরে যায় কে জানে! টিপু তাই আর দেরি করতে চায় না। এ কারণেই সে স্কুলে এলো না। এই সময়ের মধ্যে যদি ফড়িংটা মরে যায় তবে তার ফড়িংকপ্টার প্রজেক্ট নিয়ে ঝামেলা হয়ে যাবে।
ক্লাসে টিপুকে না দেখে জানেমান স্যার জানতে চাইলো, ‘ব্যাপার কী? টিপু কই? আজ কি সে একাই চড়ুইভাতিতে গেলো? নাকি গতকালের চড়ুইভাতির সুস্বাদু খিচুড়ির প্রতিক্রিয়ায় টয়লেটের সাথে তার বিশেষ একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে!’
স্যারের কথা শুনে ক্লাসের সবাই হেসে ফেলে। অন্যরা অবশ্য চড়ুইভাতির বিষয়টা বুঝলো না।
ইলিয়াস কথা-বার্তা বিশেষ বলে না, কিন্তু এইখানে সে-ই সবার আগে আগ্রহী হয়ে উঠলো, ‘না স্যার, টিপুর কিছু হয় নাই। কোথাও যায়ও নাই। সে ফড়িংকপ্টার বানাইতে বসছে!’
‘ফড়িংকপ্টার!’ স্যার ভ্রু কুঁচকালো, ‘এইটা আবার কী জিনিস!’
ক্লাসের ভেতরে গুঞ্জন শুরু হলো।
ইলিয়াস এবার আর কথা বলে না। একেবারে যেন বোবা হয়ে গেলো। অগত্যা লাবুকে বিষয়টা বর্ণনা করতে হলো, ‘আসলে স্যার, আমরা সবাই-ই তো জানি টিপু একটু বিজ্ঞানী টাইপের। সে ফড়িং দিয়ে হেলিকপ্টার বানানোর চেষ্টা করছে। তার নাম দিয়েছে ফড়িংকপ্টার। এখন সে বাড়িতে বসে ফড়িংকপ্টার বানাচ্ছে। এজন্যই স্কুলে আসে নি।’
লাবু বিশেষ কোনো কৌতুক বলে নি। কিন্তু ক্লাসের মধ্যে হাসাহাসি শুরু হলো। যদিও টিপুর বৈজ্ঞানিক চরিত্র সবার কাছেই উন্মুক্ত, মাঝেমধ্যে দু-একটা যন্ত্র বানানোর দৃশ্য প্রত্যক্ষও করেছে সবাই, তবুও ফড়িং দিয়ে হেলিকপ্টার বানানোর বিষয়টা সবার কাছে কৌতুকের মতোই লাগে।
‘ফড়িং দিয়ে হেলিকপ্টার! সেইটা কীভাবে সম্ভব!’ স্যার এখনো ভ্রু কুঁচকে আছে।
‘দেখা যাক স্যার, টিপু কী করে।’
টিপু সকালে পুকুর পাড়ে এসে ঘোষণা দিয়ে গেছে বিকেলেই সে ফড়িংকপ্টার হাজির করবে, আজ বিকেলেই সবার মাথার উপর দিয়ে ফড়িংকপ্টার উড়ে বেড়াবে!
স্কুল ছুটির পর লাবুরা সবাই তাই আমবাগানে অপেক্ষা করে টিপুর জন্য। টিপু ফড়িং দিয়ে হেলিকপ্টার বানিয়ে ফেলবে এটা জোর দিয়ে কেউ বিশ্বাস করে না। আবার টিপু যদি সত্যিই এরকম কিছু বানিয়ে ফেলে সেটাও খুব একটা অবিশ্বাস্য হবে না। সত্যিই যদি মাথার উপর দিয়ে ফড়িংকপ্টার উড়ে বেড়ায় তবে বিচিত্র একটা ব্যাপার হবে! বিচিত্র ব্যাপারের উত্তেজনায় সবার ভেতরে ছটফটানি শুরু হয়।
বেশিক্ষণ অপেক্ষায় রাখে না টিপু। এসে যায়। তার হাতে কিছুই নেই। মুখে বিশেষ কোনো ভাবও নেই। একেবারে ভাবলেশহীন সে। গাছে চড়ে পা ঝুলিয়ে বসে। কারো দিকে তাকায় না, কোনো কথাও বলে না।
সুরুজ বিচলিত ভঙ্গিতে বলে, ‘কিরে! তোর ফড়িংকপ্টার কই! বানাইতে পারিস নাই!’
টিপু উদাস ভঙ্গিতে বলে, ‘বানাইছিলাম তো!’
‘তাইলে কই! নিয়া আসলি না ক্যান?’ শেফালিও বিচলিত ভঙ্গিতে বলে।
‘আসলে ফড়িংকপ্টার কাজ করে নাই। উড়তে পারে না, মাটিতে গড়াগড়ি খায়। ভাবলাম ফড়িংটা কাইল থেইকা পলিথিনে বন্দি, খাইতে পায় নাই, তাই দুর্বল হইয়া পড়ছে, এই জন্য উড়তে পারতিছে না। এরপর কপ্টার থেইকা ফড়িংটারে খুইলা দিতেই উইড়া গেলো! আর ধরতে পারলাম না।’
সবাই হেসে ওঠে।
লাবু বিজ্ঞানীর মতো ভাব করে বললো, ‘আমি তো আগেই বলেছিলাম, হবে না। ফড়িং খুব হালকা প্রাণী। কাগজের কপ্টারসহ সে উড়তে পারবে না।’
টিপু যুক্তি মানে না, ‘ফড়িং খুব হালকা প্রাণী—এইটা কোনো বিষয় না। আমি যে ডিজাইন করছিলাম তাতে ঠিকই উড়তো। আসলে ফড়িংটা কাইল থেইকা পলিথিনে বন্দি ছিল, খাইতেও পায় নাই, তাই দুর্বল হইয়া পড়ছিল। তরতাজা সবল একটা ফড়িং হইলে ঠিকই উড়তে পারতো।’
‘তাইলে ফড়িং উইড়া গেলো যে! দুর্বল হইলে উড়লো ক্যামনে?’ রুবেল বলে।
‘আরে—’ বিরক্ত হয়ে বলে টিপু, ‘দুর্বল হইয়া পড়ছে, শক্তি একেবারে তো শেষ হইয়া যায় নাই! একলা একলা উড়ার মতো শক্তি ছিল, কিন্তু কাগজের কপ্টার নিয়া উড়ার মতো ছিল না। আর উইড়া একেবারে তো পগারপার হইতে পারে নাই! প্রথমে খানিক দূরে গিয়া বসলো। ধরতে গেলাম, উইড়া গেলো। তারপর কাপড় নেড়ে দেয়ার তারে বসলো। ধরতে গেলাম, আবার উইড়া গেলো। এরপর বারান্দার টিনের চালে গিয়া বসলো। ধরতে গেলাম, এইবারও উইড়া গেলো। তারপর একেবারে ছাদের ওপর গিয়া বসলো। আর নাগাল পাইলাম না। ছাদের ওপর গেলে দেখা যাইবো এখনো ফড়িংটা বইসা আছে। উইড়া উইড়া বাড়ি যাওয়ার শক্তি তার নাই। শক্তি থাকলে একবারেই উইড়া যাইতো। উড়তে যাইয়া বারবার বইসা পড়তো না।’
তারপর একটু আফসোস করে বললো, ‘কাইল ফড়িংগুলা ধরার পর পরই বানাইলে ঠিকই কাজ হইতো। এরপর ফড়িং ধইরাই বানাই ফেলবো। তখন দেখিস কাজ হয় কিনা।’
‘আইচ্ছা, দেখা যাইবো।’ রুবেল উড়িয়ে দিয়ে বলে।
সবাই কেমন যেন উদাস হয়ে যায়। বিচিত্র কোনো ব্যাপার ঘটাতে পারলো না টিপু। টিপুর উদাস ভাবটা তাই একটু বেশিই।
গত দুইদিন জুয়েল ভাই কোথাও বের হয় নি। আজ বের হয়েছিল। প্রতিদিনই তার সন্ধ্যা পার হয়ে গেলেও আজ সন্ধ্যার আগে আগেই ফিরে এলো। এবং দেখা গেলো, তেঁতুল গাছের পাশের রাস্তা দিয়ে এলো না। একটু পেছন দিক দিয়ে ঘুরে এলো। লাবুরা যে বিষয়টা লক্ষ্য করলো এবং মুচকি মুচকি হাসলো—জুয়েল ভাই সেটা জানতে পারলো না!
স্কুলে ম্যাড়মেড়ে একটা দিন কাটিয়ে ফিরলো লাবুরা। তারপর প্রতিদিনকার মতো আমবাগানে গিয়ে গাছে চড়ে বসলো। শেফালি আজ নিজে থেকেই কয়েকটা পেয়ারা পেড়ে এনেছে সবার জন্য। শেফালিদের কয়েকটা পেয়ারা গাছ। বেশ বড়সড়ো এবং ঝাঁকরা ঝাঁকরা গাছ। দলবেঁধে প্রতিদিন পেয়ারা খেলেও ফুরোবে না!
সুরুজ একটু কৌতুক করে বললো, ‘সূর্য কী আইজ জায়গামতো উঠছিল! পুব বাদ দিয়া উত্তর-দক্ষিণ কিংবা পশ্চিমে উঠে নাই তো!’
শেফালি উদ্দেশ্য বুঝতে পারে, কিছুটা ধমকে বলে, ‘বেশি বকবক করিস না!’
‘বেশি বকবক করলাম কই! পেয়ারা পাড়তে গেলে যে তুই তাইড়া আসিস, কথা নাই বার্তা নাই, সে তুই নিজেই পেয়ারা আইনা খাওয়াচ্ছিস—ব্যাপারটা তো স্বাভাবিক না!’
‘চোখের সামনে চুরি করতে দেখার চেয়ে নিজে পাইড়া খাওয়ানো ভালো।’ শেফালি ব্যঙ্গ করে বলে।
সুরুজ বুক ফুলিয়ে বলে, ‘চুরি কইরা খাওয়ার ভেতরে একটা বীরত্ব বীরত্ব ভাব আছে।’
‘ওরে আমার বীরত্বওয়ালারে!’ শেফালি মুখ ভেঙচিয়ে বলে, ‘দুইটা পেয়ারা চুরি করতে যাইয়া যে বারবার ধরা খায়, তার আবার বীরত্ব!’
সুরুজের গায়ে লাগে কথাটা, ‘আমাদের বীরত্ব সম্পর্কে তোর কোনো ধারণাই নাই! যে ভূতের বাড়ির আশপাশ দিয়া কেউ যায় না, আমরা সেই ভূতের বাড়ি থেইকা ঘুইরা আসছি!’
শেফালি খিলখিল করে হেসে ওঠে, তারপর তাচ্ছিল্য করে বলে, ‘সেই বীরত্বের কাহিনি তো শুনছি! দিনদুপুরে ভূতের বাড়ি থেইকা ঘুইরা আইসা বিরাট বীর সাইজা বসছে! খুব যদি বীরত্বওয়ালা হইয়া থাকিস, একবার রাইতের বেলা ভূতের বাড়ি থেইকা ঘুইরা আইসা দেখা!’ শেষে মুখ ঝামটা দেয় শেফালি।
সুরুজ-শেফালির ঝগড়ায় বাধ সাধে লাবু, ‘আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না, কথায় কথায় তোদের মধ্যে এত কাটাকাটি লেগে যায় কেন!’
শেফালিকে কিছুটা আক্রমণ করে সুরুজ বলে, ‘মেয়েদের কাজই তো শুধু শুধু গায়ে পইড়া ঝগড়া করা!’
তেতে ওঠে শেফালি, ‘কি! আমি গায়ে পইড়া ঝগড়া করি! আমি ঝগড়া করি! তুই পুরা সাধু—’
শেফালিকে থামিয়ে দেয় লাবু, ‘প্লিজ শেফালি, এইবার থামো তো। বাচ্চাদের মতো এইভাবে ঝগড়া করার কোনো মানে হয় না।’ লাবু এমন ভাব করে বলে যেন সে একেবারে মুরুব্বি হয়ে গেছে!
‘তাইলে সুরুজ উল্টাপাল্টা বকতিছে ক্যান!’ শেফালি অনুযোগ করে বলে।
সুরুজ পাল্টা জবাব দেয়, ‘আমি মোটেও উল্টাপাল্টা বকি নাই!’
লাবু এবার সুরুজকে ধমকায়, ‘থামবি সুরুজ! আর একটাও কথা বলবি না কেউ!’
সুরুজ আর কথা বলে না। শেফালিকে ভেঙচায়। শেফালিও পাল্টা ভেঙচায়।
কিছুক্ষণের নীরবতার পর সুরুজ বলে ওঠে, ‘শেফালি যে আমাগো বীরত্ব নিয়া টিটকারি মারলো, তার কী হইবো?’
‘কী করতে চাস তাহলে! যেতে চাস ভূতের বাড়ি!’ লাবু সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো সুরুজের দিকে।
‘লাগলে যাবো!’ সুরুজ এমন ভাব করে বলে যেন ভূতের বাড়িতে যাওয়া ডাল-ভাতের মতো ব্যাপার!
টিপু বলে, ‘আমিও যাইতে চাই। ভূতের বাড়ির ভুতুড়ে ব্যাপার-স্যাপারের কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নাই। ওইগুলা মানুষের মনগড়া।’
‘আর ওইগুলা তো ম্যালা পুরান কাহিনি। এখন আর ওইসব কিছু মনে হয় নাই। আমারও যাইতে কোনো আপত্তি নাই।’ মিন্টু বলে।
‘যদি সত্যিই কোনো বিপদ এসে যায়, তখন কী করবি?’ লাবু জানতে চায়।
‘বিপদ আসলে মোকাবিলা করবো!’ সুরুজ চটপট জবাব দেয়।
‘কীভাবে মোকাবিলা করবি?’ রুবেল বললো।
‘এখন কীভাবে কই! বিপদ বুইঝা ব্যবস্থা নিতে হবে!’ সুরুজ এবারো চটপট জবাব দেয়।
‘মুখে তো খুব বলছিস, সত্যিই পারবি তো!’ রুবেল সংশয় প্রকাশ করে।
‘তোর কী মনে হয়! ফাও প্যাঁচাল পারতেছি!’ সুরুজ দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে বলে।
‘তাহলে সত্যিই যেতে চাইছিস?’ লাবুর প্রশ্ন।
‘কে যাইবো না যাইবো জানি না, আমি যাইতেছি। এবং আইজ রাইতেই।’ সুরুজ জোর দিয়ে বলে।
টিপু-মিন্টু দুজনও জোর ঘোষণা দিলো, তারাও যাবে!
লাবু ইলিয়াসকে উদ্দেশ করে বলে, ‘তুই?’
‘সবাই গেলে আমি ক্যান যাবো না!’ ইলিয়াস এমন সরল ভাব করে বলে যে, ভূতের বাড়িটা যেন কারো মামার বাড়ি!
‘আর আমাদের শেফালি ম্যাডাম, আপনি কি যাইবেন, নাকি বাড়িতে কাঁথা মুড়ি দিয়া ঘুমাইবেন?’ সুরুজ শেফালিকে তাচ্ছিল্য করে বলে।
শেফালি মুখ ঝামটা দিয়ে বলে, ‘তুই কি মনে করিস—তোরা খুব বীর পালোয়ান, আর আমি ভীতুর ডিম! তোরা যাইতে পারলে আমি পারবো না ক্যান!’
‘রাস্তার মাঝখানে আবার কান্নাকাটি শুরু কইরা দিবি না তো!’
শেফালি এমনভাবে সুরুজের দিকে তাকায় যে, সুযোগ থাকলে এখনই তাকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতো!
লাবু বলে, ‘তাহলে আজ রাতেই আমরা ভূতের বাড়ি যাচ্ছি। রাত বারোটার মধ্যে সবাই এইখানে চলে আসবো। এবং বারোটা বাজার পর সর্বোচ্চ দশ মিনিট অপেক্ষা করা হবে। এর মধ্যে যারা আসবে তারাই রওনা দেবো ভূতের বাড়ি। ঠিক আছে?’
ইলিয়াস ছাড়া সবাই বললো, ‘ঠিক আছে।’
(চলবে)
পূর্ববর্তী পর্বসমূহ:
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ০২)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ০৩)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ০৪)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ০৫)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ০৬)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ০৭)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ০৮)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ০৯)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১০)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১১)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১২)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১৩)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১৪)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১৫)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১৬)
জন্ম ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৮; রাজশাহী, বাংলাদেশ। ২০১০ সালে প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘ঘন অন্ধকারের খোঁজে’ এবং ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ ‘ঘি দেয়া গরম ভাত আর চিতল মাছের পেটি’। মাঝে ২০১৩ সালে কিশোর গল্পগ্রন্থ ‘মগডাল বাহাদুর’ প্রকাশিত হয়। প্রাণিবিদ্যায় স্নাতকোত্তর সম্পন্নের পর এমবিএ করেন ব্যবস্থাপনা শিক্ষায়। বর্তমানে স্বনামধন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মানবসম্পদ বিভাগে কাজ করছেন। বই প্রকাশে দীর্ঘ বিরতি চললেও লিখে যাচ্ছেন নিয়মিত। শিশু-কিশোরদের জন্য লিখতে ভালোবাসেন, বিশেষ করে দুরন্তপনার গল্পগুলো। লেখকের কৈশোর জীবন তুমুল দুরন্তপনায় কেটেছে এমনটা নয়, তবু বেশ রঙিন এক কৈশোর কাটিয়েছেন মফস্বল শহরে। রঙিন সে জীবনে ফিরে যাবার সুযোগ না থাকায় খুব আফসোস হয়। এ আফসোস ঘোচাতেই লেখার মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে ফিরিয়ে নিয়ে যান কৈশোরে আর দুরন্তপনায় মেতে ওঠেন ইচ্ছেমতো। প্রত্যাশা কেবল এতটুকুই, কিছু উপযুক্ত পাঠক সঙ্গী হোক তার লেখার এ দুরন্ত জীবনে।
2 Comments