মুহসীন মোসাদ্দেক
(পূর্ব প্রকাশের পর)
সাময়িক উত্তেজনায় সিদ্ধান্তটা নেয়া ঠিক হলো কিনা লাবুর ভাবনায় সেটা ঘুরপাক খেতে থাকে। ভূতের বাড়ির ঘটনাগুলোর কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই সত্য, তারপরও নিশ্চয় এমন কোনো ব্যাপার আছে যা স্বাভাবিকের মধ্যে পড়ে না। কথিত আছে, ভূতের বাড়িতে কেউ গেলে আর ফিরে আসে না! কোনো কারণ ছাড়াই এমনটা নিশ্চয় ঘটে না! লাবুরা গতবার এক দুপুরে গিয়েছিল কৌতূহল মেটাতে যে, আসলেই ভূতের বাড়ির ভেতরে কী আছে। সেদিন এমন কিছু তাদের চোখে পড়ে নি যা কথিত সেই সব ভয়ঙ্কর ঘটনার ব্যাখ্যা হতে পারে। পুরনো আমলের একটা রাজপ্রাসাদ সেটা। কোনো বাউন্ডারি নেই বাড়িটার। চারকোণা একটা বাড়ি, মাঝখানে ফাঁকা জায়গা, অনেকটা বড়সড়ো উঠোনের মতো, কিন্তু সমতল নয়, এবড়োথেবড়ো এবং ইট-পাথরে ভরা। ভেতরে অনেকগুলো ছোটবড় ঘর, অধিকাংশ ঘরের দরজা-জানালার চিহ্ন নেই। যে দুই-একটা আছে সেগুলোও প্রায় যায় যায় অবস্থা। ঘরের বাইরে উঠোনকে ঘিরে চারপাশেই টানা বারান্দা। ঘরগুলোর ভেতরে কিছুই নেই। পুরোটাই ফাঁকা আর মাকড়শার জালে ভর্তি। টিকটিকি, ইঁদুর, বিড়াল, ছুঁচো, এমনকি বেজিও দেখা গেছে। দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ে ভেতরের ইট বেরিয়ে গেছে প্রায়, ক্ষয় হতে শুরু করেছে সেগুলোও। যতটুকু অবশিষ্ট আছে তাতে স্পষ্ট বোঝা যায় প্রাসাদটা বেশ কারুকার্যময় ছিল। ঘরগুলোর ভেতরে তীব্র উৎকট গন্ধ। গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসতে চায়! বাইরের চারপাশ নানারকম জংলি গাছ-গাছড়ায় ঢাকা। যেহেতু এদিকে কেউ তেমন আসে না, তাই জায়গাটা একটু বেশিই জঙ্গলময় এবং অন্ধকার। বাড়িটা মাটির উপরে দুইতলা, নিচে আরো এক-দুইতলা থাকতে পারে বলে কথিত আছে। উঠোনের মতো অংশটার একপাশে একটা মাঝারি গর্ত আছে, অনেকটা কুয়োর মতো। মাটির নিচে বাড়িটার যদি আরো দুই-একতলা থাকে তবে উঠোনের অংশটা বাড়ির মূল উঠোন নয়। সেক্ষেত্রে গর্তটা নিশ্চয় কুয়ো নয়। বাড়ির মূল উঠোনে যদি কুয়ো থাকতো তবে সেটাও চাপা পড়ে যেত। তবে গর্তটা প্রায় কুয়োর মতোই। গর্তটার নিচের দিকে শুধুই অন্ধকার, পানি আছে কী নেই বোঝা যায় না। একটা ঢিল ফেলে দেখা হয়েছে, কোনো শব্দ হয় না! লাবুরা সেদিন পুরো বাড়িটাই ঘুরে দেখেছে। নিচের দিকে যাওয়া যাবে এরকম কোনো পথ দেখতে পায় নি। এমনকি উপর তলায় যাওয়ারও কোনো পথ বা সিঁড়ি খুঁজে পাওয়া যায় নি। উপরে উঠতে হলে বাইরের দিকের দেয়াল কিংবা পিলার বেয়ে উঠতে হবে। দেয়ালগুলোর পলেস্তারা খসে পড়ে ইট বেরিয়ে যাওয়ার কারণে জায়গায় জায়গায় খাঁজ কাটার মতো হয়ে আছে। ওঠা তাই কঠিন কিছু নয়। লাবুরা সেবার অবশ্য ওঠে নি।
সবকিছু দেখে লাবুর মনে হয়েছিল বাড়িটা সে্রফ একটা পুরনো আমলের পরিত্যক্ত বাড়ি। এর ভেতরে এমন কিছু নেই যার কারণে রাতের বেলা এখানে এসে কেউ গুম হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে! সেবারই রাতের বেলায় ভূতের বাড়িতে আসার প্রস্তাব দিয়েছিল লাবু। কিন্তু বাকি কেউ রাজি হয় নি। এবার শেফালির খোঁচার কারণে বাকিদেরই বেশি আগ্রহ দেখা গেলো! শেষ পর্যন্ত তাই আজ রাতে সবাই মিলে যাচ্ছে ভূতের বাড়ি!
রাতের খাবারের পর থেকে অস্থিরতা বাড়তে থাকে। বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়লে বেরিয়ে পড়তে হবে। প্রয়োজন হতে পারে এরকম কিছু জিনিস ব্যাগে ভরে রাখে লাবু। লাবুর অনুভূতি হতে থাকে বিচিত্র রকমের। সে ভূতের বাড়ির ঘটনাবলি বিশ্বাস করতে চায় না, আবার উড়িয়েও তো দেয়া যায় না! এমন যদি হয় তারা কেউ-ই আর ফিরে এলো না, তখন! যদি সত্যিই ভয়ঙ্কর কোনো কিছুর মোকাবিলা করতে হয়, কী দিয়ে করবে! আবার এমনও হতে পারে তেমন কিছুই ঘটবে না, তারা কিছুক্ষণ ঘুরে-ফিরে নিজ নিজ বাড়ি ফিরে আসবে। সকালে সবাইকে বিষয়টা বলবে যে ভূতের বাড়ি আসলে ভূতের বাড়ি না, খুব সাধারণ একটা বাড়ি, ভয় পাবার মতো কিছু নেই সেখানে। কেউ হয়তো সহজে বিশ্বাস করবে না। উল্টো রাতের বেলা এরকম কাজ কেন করলো—এই অজুহাতে হয়তো আচ্ছামতো পিটুনিই খেতে হবে!
ভূতের বাড়ি আসলেই রহস্যময় ভয়ঙ্কর কোনো কিছুর কারখানা নাকি একেবারেই স্বাভাবিক সাধারণ একটা পরিত্যক্ত বাড়ি—তা উন্মোচন হতে আর বেশি দেরি নেই। অস্থিরতা তাই আরো বাড়তে থাকে।
রুবেল একটা তাবিজ হাতে বেঁধে নেয়। অনেক আগের একটা তাবিজ। বিপদ-আপদ থেকে রক্ষার জন্য কোথায় থেকে যেন আনা হয়েছিল, মনে নেই। পুরনো হলেও নিশ্চয় বিপদে কাজে দেবে—এই ভরসায় তাবিজটা হাতে বাঁধে রুবেল। লাবু অবশ্য এতে বিরক্ত হয়।
বাড়ির সবাই শুয়ে পড়ার পর যখন আর কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যায় না তখন রাত সাড়ে এগারোটা বাজে। লাবু-রুবেল খুব সাবধানে বেরিয়ে আসে। আকাশে আজ চাঁদ নেই, কিন্তু তারা আছে। বাইরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। গ্রামের মানুষ খুব বেশি রাত জাগে না। বাইরের সবকিছু তাই নিশ্চুপ। লাবু-রুবেল সাবধানে হেঁটে আসে। লাবু মনে মনে ভাবছিল আমবাগানে গিয়ে দেখবে কেউ আসে নি, এবং কেউ আর আসবেই না। কিন্তু আমবাগানে এসে দেখা গেলো, বিষয় ভিন্ন। সুরুজ আগেই এসে বসে আছে। লাবুরা আমগাছের নিচে গিয়ে দাঁড়াতেই মিন্টুও এসে গেলো। সুরুজ মাফলার দিয়ে মুখ ঢেকে রেখেছে, একটা টর্চ লাইটও আছে হাতে। এই গরমে মাফলারটাকে খুব বেমানান লাগছে, কিন্তু সেটা নিয়ে কেউ কিছু বললো না। হারুন ভাইকে বলে লাবুও একটা টর্চ লাইট যোগাড় করে রেখেছে।
একটু পরেই আরো একটা টর্চের আলো দেখা গেলো। লাবুর মতো ব্যাগ ঘাড়ে এসে গেলো টিপু। ইলিয়াস আসে তারপরেই। অপেক্ষা কেবল শেফালির জন্য।
বারোটা পেরিয়ে গেলেও শেফালি এলো না দেখে সুরুজ বললো, ‘আমি কইলাম, শেফালি আর আসবো না!’
‘আর কয়েক মিনিট দেখি।’ লাবু ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলে।
সবাইকে দেখে খুব স্বাভাবিক মনে হয়। ভূতের বাড়ির নাম শুনলেই যেখানে দশ গ্রামের মানুষ ভয় পায়, সেখানে এই মাঝরাতে ভূতের বাড়িতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে সবার স্বাভাবিক ভঙ্গি স্বাভাবিক ঘটনা হতে পারে না! সবার ভেতরেই হয়তো ভয় কাজ করছে, কিন্তু কেউ প্রকাশ করছে না। আবার এমনও হতে পারে—সামনের অনিশ্চিত সময় নিয়ে কেউ আসলেই মাথা ঘামাচ্ছে না।
লাবু হালকা স্বরে জিজ্ঞেস করে, ‘তোদের কী অবস্থা? ঠিক আছিস তো! খুব ভয় করলে এখনই বল।’
সুরুজ বলে, ‘ভয় তো একটু করতিছেই! তাতে কী, ভূতের বাড়ির শেষ আইজ দেইখাই ছাড়বো!’
সবার মধ্যে একই স্পৃহা ছড়িয়ে পড়ে, ভূতের বাড়ির শেষ আজ তারা দেখেই ছাড়বে!
বারোটা দশ বাজে। শেফালি এখনো এলো না।
লাবু ঘড়ির দিকে একবার তাকিয়ে বললো, ‘শেফালির জন্য আর অপেক্ষার মনে হয় প্রয়োজন নেই। ও এলে এর মধ্যেই চলে আসতো।’
‘আমি আগেই বুঝছিলাম, ওই আসবো না! শুধু শুধু প্যাঁচাল!’
‘তাহলে আমরা এগোই।’
লাবু হাঁটতে লাগলো। বাকিরাও লাবুকে অনুসরণ করে। সবাই একসাথে পাশাপাশি হাঁটতে থাকে। ভূতের বাড়িটা গ্রামের প্রায় শেষপ্রান্তে। যেতে বেশ সময় লাগবে। অন্ধকার রাত। গ্রামের রাস্তাঘাট, কোথাও কোনো আলো জ্বলে না। কোনো বাড়িতেই হয়তো এখন কেউ জেগে নেই। কয়েকটা বাড়ি পার হলেই আর কোনো বসতি থাকবে না। ধানক্ষেতের আইল ধরে ধরে যেতে হবে।
টর্চের আলোয় পথ চলছে ওরা। তবে সবসময় টর্চ জ্বালিয়ে রাখা হচ্ছে না। অন্ধকার হলেও মোটামুটি রাস্তা বোঝা যাচ্ছে। যখন যখন বুঝতে সমস্যা হচ্ছে তখন তখন টর্চ জ্বালানো হচ্ছে। বলা যায় না, কোথাও কেউ জেগে থাকলেও থাকতে পারে। কোনোভাবে যদি কেউ বুঝতে পারে ছয়টা বারো-তেরো বছরের ছেলে এই মাঝরাতে কোথাও যাচ্ছে, তাহলে একটা ঝামেলা পেকে যাবে। পথে তাই খুব সাবধান সবাই। কেউ কোনো কথা বলছে না। কিছু বলার প্রয়োজন হলে ফিসফিস করে বলা হচ্ছে।
ভূতের বাড়ির সামনে এসে বেশ খানিকটা দূরত্বে দাঁড়ায় সবাই। দূর থেকে দেখে বাড়িটাকে। অন্ধকারে ঝোপঝাড়ে ঢাকা বাড়িটাকে ভূতের বাড়ি বলেই মনে হয়। না জানি এই আঁধারে কত রহস্য লুকিয়ে আছে ভেতরে!
চারপাশটা ভালোভাবে দেখে নেয়া হয়। তারপর ভূতের বাড়ির দিকে এগিয়ে যায়। একসাথে সবাই ঢোকা ঠিক হবে না। একজন একজন করে লাইন ধরে ঢুকতে হবে। সবার আগে ঢোকে লাবু। খুব ধীর পায়ে সাবধানে ধাপ ফেলে ভেতরে এগোতে থাকে লাবু। লাবুর পর হাত তিনেক দূরত্ব রেখে ঢোকে সুরুজ, তারপর রুবেল, এরপর মিন্টু, টিপু, সবার শেষে ইলিয়াস। বাইরের চেয়ে ভেতরে বেশি অন্ধকার। উৎকট গন্ধটা নাকে লাগে। ধীরে ধীরে সবাই উঠোনে চলে আসে। এখান থেকে আকাশ দেখা যায়। আকাশে চাঁদ না থাকলেও এখানে একটু আলো আলো ভাব আছে।
উঠোনে দাঁড়িয়ে সবাই আশেপাশে চোখ বুলায়। কোথাও কোনো অস্বাভাবিকতার লক্ষণ দেখা যায় না। হঠাৎ চিক চিক করে শব্দ করতে করতে একটা ছুঁচো ছুটে পালায়। ভয় পেয়ে যায় সবাই, চমকে ওঠে। কারো পায়ের কাছ দিয়ে না গেলেও একধাপ পিছে সরে যায় সবাই।
‘বাপরে! ভয় পাইয়া গেছিলাম!’ মিন্টু চাপা স্বরে বলে।
‘ধুর! এইটা ভয় পাওয়ার মতো কিছু হইলো! কেবল তো একটা ছুঁইচ্যা। ইয়া বড় অজগর-টজগর বাহির হয় কিনা কে জানে!’ সুরুজ কিছুটা জোরে জোরেই বলে।
‘কে জানে ইয়া বড় দানবের মতো একটা ভূতও সামনে এসে যায় কিনা!’ লাবুও কিছুটা জোরেই বলে কথাটা।
মিন্টু বিচলিত হয়ে চাপা কণ্ঠেই বলে, ‘তোরা জোরে জোরে কথা বলছিস কেন!’
‘তোর কি ধারণা জোরে কথা বললে ভূতেরা টের পেয়ে যাবে আর আস্তে বললে পাবে না!’
কথাটা বলে লাবু পাশের একটা ঘরের দিকে এগিয়ে যায়। মিন্টু কোনো জবাব দেয় না। বাকিরা চেপে চেপে হাসে।
প্রথম কিছুক্ষণ একটু ভয় ভয় করলেও এখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসে সবাই। প্রথম কিছুক্ষণ বেশ সতর্কভাবে ধাপ ফেলছিল, এখন অনেকটা স্বতঃস্ফূর্ত।
সুরুজ তো সবাইকে চমকে দিয়ে হঠাৎ খুব সাহসী হয়ে ওঠে, ভূতদের চ্যালেঞ্জ করে কিছুটা চেঁচিয়ে বলে, ‘কই ভূত মামুরা, কই গেলা তোমরা! তোমাদের এত্তগুলা ভাগিনা আসছে, একটু স্বাগত জানাইবা না, আপ্যায়ন করাইবা না!’
ইলিয়াস মনে হয় একটু ভয় পেয়ে যায়, মিন্টুর গা-ঘেঁষে দাঁড়ায়।
লাবু কৌতুক করে বলে, ‘তোর আমন্ত্রণে সত্যিই যদি এ বাড়ির ভূতেরা এখন এসে হাজির হয়, তাহলে তোকে আপ্যায়ন করানোর পরিবর্তে তোকে দিয়েই ডিনার সারবে!’
সুরুজ কথাটাতে মজা পায়। খিলখিল করে হাসতে থাকে।
লাবু উঠোনে দাঁড়িয়ে ভাবছিল কোনোভাবে ওপর তলায় যাওয়া যায় কিনা, এসময় বাড়ির মুখের দিক থেকে হঠাৎ টর্চের আলো আসে। সেই সাথে হালকা স্বরে কথার আওয়াজ পাওয়া যায়। কারা যেন আসছে!
(চলবে)
পূর্ববর্তী পর্বসমূহ:
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ০২)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ০৩)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ০৪)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ০৫)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ০৬)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ০৭)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ০৮)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ০৯)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১০)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১১)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১২)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১৩)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১৪)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১৫)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১৬)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১৭)
জন্ম ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৮; রাজশাহী, বাংলাদেশ। ২০১০ সালে প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘ঘন অন্ধকারের খোঁজে’ এবং ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ ‘ঘি দেয়া গরম ভাত আর চিতল মাছের পেটি’। মাঝে ২০১৩ সালে কিশোর গল্পগ্রন্থ ‘মগডাল বাহাদুর’ প্রকাশিত হয়। প্রাণিবিদ্যায় স্নাতকোত্তর সম্পন্নের পর এমবিএ করেন ব্যবস্থাপনা শিক্ষায়। বর্তমানে স্বনামধন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মানবসম্পদ বিভাগে কাজ করছেন। বই প্রকাশে দীর্ঘ বিরতি চললেও লিখে যাচ্ছেন নিয়মিত। শিশু-কিশোরদের জন্য লিখতে ভালোবাসেন, বিশেষ করে দুরন্তপনার গল্পগুলো। লেখকের কৈশোর জীবন তুমুল দুরন্তপনায় কেটেছে এমনটা নয়, তবু বেশ রঙিন এক কৈশোর কাটিয়েছেন মফস্বল শহরে। রঙিন সে জীবনে ফিরে যাবার সুযোগ না থাকায় খুব আফসোস হয়। এ আফসোস ঘোচাতেই লেখার মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে ফিরিয়ে নিয়ে যান কৈশোরে আর দুরন্তপনায় মেতে ওঠেন ইচ্ছেমতো। প্রত্যাশা কেবল এতটুকুই, কিছু উপযুক্ত পাঠক সঙ্গী হোক তার লেখার এ দুরন্ত জীবনে।