মুহসীন মোসাদ্দেক
কিন্তু হঠাৎ করে তারা লক্ষ্য করলো কেউ একজন সুড়সুড় করে ঘরের ভেতর ঢুকলো! তারপর তাদের পাশে বসে পড়লো! আতঙ্কে চমকে উঠলো সবাই! কে! কে এলো! সত্যিই কী কেউ এলো! নাকি স্বপ্ন!
স্বপ্ন হয় কীভাবে! কেউ তো ঘুমিয়ে পড়ে নি!
‘ভয় পাইও না, আমি আইসা পড়ছি!’ ফিসফিস করে বলে সে।
‘কে!’ লাবু আরো চমকে ওঠে, ‘শেফালি!’
‘হুম।’
সবার ভেতরেই যেন আবার প্রাণ ফিরে আসে। লাবু ব্যস্ত হয়ে বলে, ‘তুমি কোত্থেকে! কীভাবে এলে!’
শেফালি আঙুল দিয়ে ঠোঁট চেপে ‘ইসসস!’ করে শব্দ করে চুপ থাকার ইঙ্গিত দেয়। তারপর ফিসফিস করে বলে, ‘সে ম্যালা কথা। এখন বলার সময় নাই। তাড়াতাড়ি একটা ব্যবস্থা নিতে হবে।’
‘কুদ্দুসের কী অবস্থা?’
‘সে তো ঝিমায়!’
সুরুজ বলে, ‘আগে বাঁন্ধন খুইলা দে শেফালি!’
‘ও, হ্যাঁ।’
শেফালি সবার বাঁধন খুলে দেয়। খুব সহজে অবশ্য খোলা গেলো না! কিবরিয়ার কথাটাই ঠিক—একেবারে রাম গিঁট্টুই দেয়া আছে। শেষ পর্যন্ত টিপুর ব্যাগ থেকে চাকু বের করে দড়ি কেটে দেয়া হলো। বোকারা ব্যাগগুলোও এ ঘরে রেখে গেছে! অনেকক্ষণ পর হাত-পা মেলে বসে সবাই। অস্বস্তিকর পরিবেশেও কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে।
‘শেফালি বলে বেশি কথা বলার সময় নাই। দ্রুত একটা বুদ্ধি বাহির করতে হবে।’
‘কিন্তু কী করা যায়!’ লাবু মাথা চুলকাতে থাকে।
সুরুজ বলে, ‘আমরা যেইভাবে বাঁন্ধা ছিলাম সেইভাবে ভান ধইরা থাকি। আর কুদ্দুসরে ডাইকা কই টয়লেট লাগছে। তারপর সে যখন বাঁন্ধন খুলতে সামনের দিকে ঝুঁইকা বসবো তখন তার হাত ধইরা টাইনা মাটিতে ফেলায় দিবো। তারপর সবাই মিলে তারে চাইপা ধরবো। আর কেউ একজন তার রাইফেলটা কাইড়া নিবো। তারপর তারে বাঁইন্ধা আমরা পালাবো।’
‘বুদ্ধি খারাপ না। কিন্তু কুদ্দুস মনে হয় এতো বোকা না যে সে খুব সহজে বাঁধন খুলে দিতে চাইবে!’ লাবু কথা শেষ করেই পাল্টা বুদ্ধি দেয়, ‘ঠিক এই কাজটাই একটু অন্যভাবে করা যায় না?’
‘কীভাবে!’
‘আমরা সবাই দরজার পাশে দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়াবো। তারপর কেউ একজন কুদ্দুসকে ভেতরে ডাক দিবো। কুদ্দুস যেই ভেতরে ঢুকবে সেই সবাই মিলে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বো। তারপর সুরুজ যেভাবে বললো সেভাবে তার রাইফেলটা কেড়ে নিয়ে তাকে বেঁধে ফেলবো।’
সুরুজ বললো, ‘ঠিকা আছে, তাই সই!’
সবাই দরজার পাশে দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়ালো। উত্তেজনায় বুকের ভেতর দুরু দুরু করতে থাকে। দড়িগুলো একপাশে সরিয়ে রাখা হলো। এই দড়ি দিয়েই কুদ্দুসকে বাঁধা হবে। এই দড়ি দিয়ে কাজ না হলেও অবশ্য সমস্যা নেই। লাবু-টিপু দুজনের ব্যাগেই কিছু দড়ি আছে।
সবাই প্রস্তুত হলে পেছন থেকে মিন্টু একটু জোরে আওয়াজ করে ডাক দেয়, ‘কুদ্দুস কাকু! কুদ্দুস কাকু! একটু ভেতরে শোনেন!’
স্পষ্ট বোঝা যায় কুদ্দুস ধড়ফড় করে ওঠে, ‘কে! কে ডাকে!’
মিন্টু আবার বলে, ‘আমি কাকু! একটু ভেতরে শোনেন না!’
‘ক্যান! কী হইছে!’ কুদ্দুস একটু বিরক্তির স্বরে বলে। এবং খুট করে একটু শব্দ হওয়াতে বোঝা যায় সে রাইফেলের বাঁটে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়ালো।
লাবুরা আরো সতর্ক হয়ে যায়। কুদ্দুস ভেতরে ঢুকেই ঘরের কোণায় টর্চ মারবে। সেখানে কেউ নেই। সে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
ধপ ধপ করে ধাপ ফেলে কিছুটা টলতে টলতে এগিয়ে আসতে থাকে কুদ্দুস। স্বভাবতই ঘরে ঢুকেই কিছুটা অলস ভঙ্গিতে সে টর্চ মারলো ঘরের কোণার দিকে। সে ঠিকমতো তাকিয়ে দেখারও সুযোগ পেলো না। তার আগেই তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো লাবুরা। কুদ্দুসের মনে হলো পুরো ঘরটাই বুঝি তার ওপরে ধসে পড়লো! সে আতঙ্কিত এবং বিচলিত কণ্ঠে বললো, ‘আরে! আরে! কী হইলো! এইসব কী হইতিছে! কী গজবরে বাবা!’
লাবুরা মাটিতে একেবারে চেপে ধরলো কুদ্দুসকে। সুরুজ ধমকে ওঠে, ‘চুপ, চুপ! একদম চুপ! একটুও নড়বি না! নড়েছিস তো একেবারে ছাতু বানায় ফেলবো!’
কুদ্দুস চুপ করে না। আরো আতঙ্কিত হয়ে বলে, ‘কী হইতিছে এইগুলা! কী হইতিছে! ছাইড়া দে কইতেছি! ছাইড়া দে!’
‘মামুর বাড়ির আবদার পইছো! ছাইড়া দিবো! দাঁড়াও তোমারে লাট্টু বানায়া ঘুরাবো!’ সুরুজ কুদ্দুসের পিঠের ওপর লাফাতে লাফাতে বলে।
কুদ্দুস এই অবস্থায়ও হুঁশিয়ারি ছোড়ে, ‘ভালো হইবো না কইলাম! একদম ভালো হইবো না!’
লাবু রাইফেলটা বাগিয়ে নিয়ে কুদ্দুসের দিকে তাক করে বলে, ‘চুপ! একদম চুপ! কোনো কথা হবে না! না হলে কিন্তু একেবারে ঘিলু বের করে দেবো!’
কুদ্দুস রাইফেল তাক করা লাবুকে দেখতে পায়, আর্তনাদ করে ওঠে সে, ‘রাইফেল নিয়া বেশি নাড়াচাড়া কইরো না! গুলি লোড করা আছে! গুলি বাহির হইয়া যাইবো!’
‘তাহলে একদম চুপ থাক। কোনো কথা বলবি না। একদম নড়বি না।’ লাবু ট্রিগারে হাত রেখে বলে, ‘নড়েছিস তো মাথার খুলি উড়ায় দিবো!’
‘না, না! রাইফেল নাড়াচাড়া কইরো না! কইরো না!’
‘বললাম না চুপ! একদম চুপ!’ লাবু বিকট স্বরে ধমকে ওঠে।
কুদ্দুস চুপ করে যায়।
লাবু অর্ডার দিয়ে বলে, ‘ওরে বাঁইন্ধা ফেলা!’ কুদ্দুসের দিকে রাইফেল তাক করে ট্রিগারে হাত রেখে বলে, ‘ওই নড়বি না কইলাম। নড়লেই কিন্তু—’
লাবুকে কথা শেষ করতে হয় না। কুদ্দুস নড়ে না, কথাও বলে না। তাকে আচ্ছামতো বেঁধে ফেলা হলো। তারপর ঘরের কোণায় ফেলে রেখে ব্যাগগুলো নিয়ে বেরিয়ে আসলো সবাই। কুদ্দুসের কাছে রাইফেলের আরো কিছু গুলি ছিল। সেগুলোও নিয়ে নিলো লাবু। কুদ্দুসের মুখও বেঁধে দেয়া হয়েছে। সে পড়ে পড়ে শুধু গোঙাতে থাকলো।
উল্লাস করতে করতে ভূতের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে ওরা। লাবু রাইফেলটা কাঁধে ঝুলিয়ে রাখে।
শেফালি জিজ্ঞেস করে, ‘সত্যিই যদি গুলি বেরিয়ে যেত, তো!’
‘এমনি এমনি তো আর গুলি বের হয় না! প্রয়োজন হলে গুলি করতাম!’
‘তুমি গুলি করতে পারতে!’
‘আব্বুর একটা রাইফেল আছে। মাঝেমধ্যে পাখি শিকার করতে যায়। আমিও গেছি কয়েকবার। তখন আব্বুকে গুলি করতে দেখেছি। নিজে কখনো অবশ্য করি নি। তবে, প্রয়োজন পড়লে দুই-একটা গুলি করা কোনো ব্যাপার না!’
‘বাব্বাহ!’
রুবেল বলে, ‘এখন আমরা কী করবো?’
লাবু বলে, ‘ওরা মূর্তিগুলো নিয়ে মনে হয় বেশিদূর যেতে পারে নি। নদীর ঘাটে যাওয়ার আগেই ওদের আটকাতে হবে। আর এইদিকে পুলিশে খবর দেয়া দরকার। আমরা কেউ গেলে পাত্তা দিবে না। বড় কাউকে লাগবে।’
রুবেলকে উদ্দেশ করে লাবু বললো, ‘তুই ইলিয়াসকে সাথে নিয়ে বাসায় চলে যা। তারপর সবাইকে ডেকে তুলে ঘটনা খুলে বল। তারপর বড় আব্বুই একটা ব্যবস্থা করে ফেলবে। আর এইদিকে আমরা সামলে নিচ্ছি।’
‘আচ্ছা। কিন্তু তোরা সাবধানে থাকিস।’
রুবেল ইলিয়াসকে নিয়ে রওনা দিলো। ঘুটঘুটে রাতের আঁধারেও এখন আর কারো ভয় করছে না। নিজেদের কেমন যোদ্ধা যোদ্ধা মনে হচ্ছে!
লাবু, শেফালি, সুরুজ, মিন্টু আর টিপু আঁধারের ভেতর এগোতে থাকে। রাইফেল কাঁধে লাবু সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়। পাশে অবশ্য নেত্রীও আছে! সামনে আরো দুটো মিশন। নদীর ঘাটে পৌঁছানোর আগেই বসির ভাই, কিবরিয়া আর মাসুমকে আটকাতে হবে। তারপর কৌশলে বেঁধে ফেলতে হবে। এরপর নদীর ঘাটে গিয়ে এদের ওস্তাদ আর বিদেশিটাকে ধরতে হবে। থানা বেশ দূরে। পুলিশ আসতে অনেক দেরি হবে। পুলিশ আসার আগ পর্যন্ত এদের আটকে রাখতে হবে। এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। ভূতের বাড়িতে যে সমস্ত সম্পদ আছে তার অনেক মূল্য। এবং এই সম্পদ সরকারের। এটা ধরিয়ে দিতে পারলে দেশের জন্য খুব ভালো একটা কাজ হবে। এই বাড়ির সম্পদগুলো দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য বহন করে। যেসব মূর্তির কথা বসির ভাই বলছিল সেসব জাদুঘরে রাখা যাবে। এবং এই বাড়িটা প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাস চর্চায় ও গবেষণায় অনেক ভূমিকা রাখবে। সুতরাং, অনেক বড় দায়িত্ব এখন ওদের কাঁধে। বড় কাজটা অবশ্য হয়েই গেছে, এখন সবাইকে একসাথে ধরতে পারলে সেটা পূর্ণতা পায়।
হাঁটতে হাঁটতে লাবুর মনে হতে থাকে এটা হয়তো স্বপ্ন। একটু আগেও তারা বন্দি অবস্থায় ছিল। উদ্ধারের কোনো পথ খোলা ছিল না। এই অবস্থায় কোথায় থেকে কীভাবে যেন শেফালি এসে হাজির!
ঝট করে ঘুরে তাকায় লাবু, ‘আচ্ছা, তোমার ঘটনাটা কী, বলতো? হঠাৎ কোথায় থেকে তুমি হাজির হলে? তুমি জানলে কীভাবে যে আমরা ওখানে ধরা পড়েছি, বন্দি হয়ে পড়েছি!’
‘সে বিরাট কাহিনি। আমি যখন বাহির হইতে যাবো তখন দেখি আব্বায় জাইগা আছে। একেবারে বারান্দায় বইসা আছে। বের হওয়ার তো কোনো উপায় নাই! আব্বা যখন ঘরে ঢুকলো তখন সাড়ে বারোটা বাইজা গেছে। আমি বুঝছিলাম তোমরা এর মধ্যে চইলা গেছো। আর আমি যদি না যাই তাইলে আমারে তোমরা ক্ষ্যাপাইবা যে আমার সাহস নাই, আমি ভীতুর ডিম! তাই বাহির হইয়া দিলাম দৌড়।’
সবাই একটু হেসে ওঠে। শেফালি বলতে থাকে, ‘তাও আমবাগানে গেলাম, যদি তোমরা না যাইয়া থাকো! কিন্তু আমবাগানে কাউরে দেখলাম না। সেই সময় মনে হইলো তোমরা কি আসলেই ভূতের বাড়ি যাইতিছো নাকি না? যদি যাইয়া থাকো তাইলে তো কোনো ব্যাপার না। কিন্তু যদি না যাইয়া থাকো তাইলে আমি একলা যাইয়া কী করবো? শেষমেশ চিন্তা করলাম—যা আছে কপালে যাইয়া দেখি। আবার দিলাম দৌড়।’
শেফালি একটু দম নেয়, ‘তারপর যেই আমি ভূতের বাড়ির সামনে গেছি সেই দেখি চারটা বড় বড় মানুষ টর্চ জ্বালাইতে জ্বালাইতে আসতিছে। আমি আর আগাইলাম না। একপাশে আড়াল হইয়া দাঁড়াইলাম। মানুষ চাইরটারে দেখলাম সরাসরি ভূতের বাড়িতে ঢুকলো! বুঝলাম ঘটনা সুবিধার না। আমি তো তখনো জানি না, ভেতরে তোমরা আছো কিনা। ওরা ঢুইকা যাওয়া পর আমি চুপ চুপ কইরা ঢুকলাম। তারপর একটা ঘরের ভেতর থেইকা ওদের দেখতে থাকলাম আর কথা শুনতে থাকলাম। বেশ কিছুক্ষণ পর হইলো একটা শব্দ। তারপর ওই ঘরের ভেতরে কিছুক্ষণ কী হইলো বুঝলাম না। একটু পরে দেখি তোমাগোরে বাঁইন্ধা নিয়া আসতিছে। তারপর একটা ছোট ট্রাঙ্ক নিয়া তিনজন বাহির হইয়া গেলো আর কুদ্দুস থাইকা গেলো। একটু পরেই দেখি কুদ্দুস ঝিমাইতিছে! আর এ সুযোগেই আমি তোমাগো ঘরে ঢুইকা গেলাম। তারপরে তো এই কাহিনি।’
‘ওহ! জটিল কাহিনি!’
সুরুজ বলে, ‘তোর কাছে তো তাইলে হার মানা লাগেরে শেফালি! সব থেইকা সাহস আসলে তোরই বেশি। তুই ছিলি বইলাই আমরা রক্ষা পাইলাম! না হইলে যে কী হইতো!’
শেফালি মজা করে বলে, ‘আসলে আমি যতটা না তার চাইতে বেশি কৃতিত্ব আমার আব্বার। আব্বা যদি বারান্দায় বইসা না থাকতো তাইলে তো আমিও সময়মতো চইলা আসতাম আর তোদের সাথে বন্দি হইয়া থাকতাম। তারপর হয়তো একসাথে সবাই বিদেশে পাচার হইয়া যাইতাম!’
আবার হেসে ওঠে সবাই। টিপু থামিয়ে দেয়। দূরে অন্ধকারে তিনটা মানুষের অস্তিত্ব বোঝা যায়। নদীর ঘাট এখনো বেশ দূরে, সুযোগ মতোই পাওয়া গেলো ওদের।
(চলবে)
পূর্ববর্তী পর্বসমূহ:
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ০২)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ০৩)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ০৪)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ০৫)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ০৬)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ০৭)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ০৮)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ০৯)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১০)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১১)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১২)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১৩)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১৪)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১৫)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১৬)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১৭)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১৮)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ১৯)
ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস: লাবুদের দস্যিপনা (পর্ব ২০)
জন্ম ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৮; রাজশাহী, বাংলাদেশ। ২০১০ সালে প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘ঘন অন্ধকারের খোঁজে’ এবং ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ ‘ঘি দেয়া গরম ভাত আর চিতল মাছের পেটি’। মাঝে ২০১৩ সালে কিশোর গল্পগ্রন্থ ‘মগডাল বাহাদুর’ প্রকাশিত হয়। প্রাণিবিদ্যায় স্নাতকোত্তর সম্পন্নের পর এমবিএ করেন ব্যবস্থাপনা শিক্ষায়। বর্তমানে স্বনামধন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মানবসম্পদ বিভাগে কাজ করছেন। বই প্রকাশে দীর্ঘ বিরতি চললেও লিখে যাচ্ছেন নিয়মিত। শিশু-কিশোরদের জন্য লিখতে ভালোবাসেন, বিশেষ করে দুরন্তপনার গল্পগুলো। লেখকের কৈশোর জীবন তুমুল দুরন্তপনায় কেটেছে এমনটা নয়, তবু বেশ রঙিন এক কৈশোর কাটিয়েছেন মফস্বল শহরে। রঙিন সে জীবনে ফিরে যাবার সুযোগ না থাকায় খুব আফসোস হয়। এ আফসোস ঘোচাতেই লেখার মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে ফিরিয়ে নিয়ে যান কৈশোরে আর দুরন্তপনায় মেতে ওঠেন ইচ্ছেমতো। প্রত্যাশা কেবল এতটুকুই, কিছু উপযুক্ত পাঠক সঙ্গী হোক তার লেখার এ দুরন্ত জীবনে।
1 Comment